গাজায় যুদ্ধের প্রভাবে বেথেলহেমে খ্রিস্টানদের বড়দিনে হতাশা, নেই আনন্দ উৎসব
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
বেথেলহেম পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি ছোট শহর, যা খ্রিস্টানদের জন্য ক্রিসমাসের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত,আজ বুধবার(২৫ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। কিন্তু যীশু খ্রিস্টের জন্মস্থান হিসেবে বিবেচিত এই পবিত্র শহরেই নেই উৎসবের আমেজ।
এই বছর এক ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে এখানকার খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিনের(ক্রিসমাসের)আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে না। সাধারণত, এই সময় বেথলেহেমে পর্যটকদের ভিড় এবং উজ্জ্বল সাজসজ্জা দেখা যেত, কিন্তু এবারে শহরটি কিছুটা শোকাহত এবং শূন্য মনে হচ্ছে।
এই বছর, বেথলেহেমের খ্রিস্টানরা শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং পারিবারিক মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করছেন, সাধারণত যা আনন্দের সময় হয়ে থাকে, তা এখন শোকের আবহে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় লুথেরান পাদ্রি রেভারেন্ড মুনথের ইসাক জানিয়েছেন, "এটি আনন্দ এবং উদযাপনের সময় হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বেথেলহেম একটি শোকময় শহর, গাজার ভাইবোনদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে।" তিনি তার চার্চে নবজাতক যীশুর মূর্তি একটি ধ্বংসস্তূপের উপরে রাখেন, যা যুদ্ধের সঙ্গেই সম্পর্কিত।
অতীতে বড়দিন উদযাপন করতে আসা লাখো পর্যটকের আগমনে মুখরিত শহরটিতে আজকের দিনে মাত্র কয়েক শ মানুষ জমায়েত হয়েছেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের অশুভ ছায়া এই উৎসবে প্রতিফলিত হয়েছে এবং এক গুরুগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সেইন্ট পিটার ব্যাসিলিকায় পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বাসীদের 'যুদ্ধ, মেশিনগানের গুলি ও স্কুল-হাসপাতালে ফেলা বোমায় হতাহত শিশুদের' কথা ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি 'নির্মম ইসরায়েলি হামলার' নিন্দা জানান। যথারীতি, তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি কূটনীতিকরা পোপের বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন।
গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, ড. ইউসেফ খুরী, যিনি গাজার নাগরিক, বলেন, "আমার মা বলেছিলেন, টেলিভিশনে যা দেখাচ্ছে, তা আসল ঘটনা নয়।" গাজায় প্রায় ৪৫,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এই শহরের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। পর্যটন বন্ধ হয়ে গেছে এবং শহরের অনেক ব্যবসায়ী বিপর্যস্ত।
তবে, বেথেলহেমের প্যালেস্টাইন লায়ন্স ক্লাব, একটি কমিউনিটি গ্রুপ, আশার আলো দেখাচ্ছে। তারা স্থানীয় দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করছে, কারণ সেখানে সরকারি সহায়তা নেই। ক্লাবের প্রধান ওয়াইল শায়ের বলেন, "ক্রিসমাস (বড়দিন) হল দেবার এবং ভালোবাসার সময়, এবং আমরা এই প্যাকেটের মাধ্যমে কিছুটা আশা এবং আনন্দ পৌঁছে দিতে চাই।"
যদিও বেথেলহেমের মানুষ শোকাহত, তারা একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজেদের আশা ধরে রাখতে চায়। গাজার যুদ্ধের প্রভাব এবং বেথেলহেমের অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের সামনে অন্ধকার পথ দেখাচ্ছে, তবে আশার আলো এবং সহায়তার মাধ্যমে তারা এই সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা